বাংলাদেশ-ভারত-ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যে নবযাত্রার সূচনা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ভুটান থেকে নদীপথে পণ্যবাহী জাহাজ ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান সরকারের প্রতিনিধি এবং বসুন্ধরা গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ফিতা কেটে এ বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।
ভুটান থেকে পাথরবাহী ভারতীয় জাহাজটি গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইন্দো-বাংলা রুট ব্যবহার করে আসা প্রথম চালানটি গ্রহণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। তিনি সহযোগিতার জন্য সবাইকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।ফিতা কেটে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যিক কার্যক্রমের সূচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বলেন, ভুটান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে নদীপথে পাথর আমদানি দেশ তিনটির ট্রেডের এক নবসূচনা করলো। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগে ভারত-ভুটান-বাংলাদেশকে নিয়ে আমরা নতুন স্বপ্ন দেখতে পারি। আগামী দিনগুলোর বাণিজ্য এভাবেই হওয়া উচিত। এতে তিন দেশের সম্পর্কে আরো উন্নতি ঘটবে এবং আমরা সেটিকে আরো নতুন ও উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাবো।
ভুটানের রাষ্ট্রদূত সোনম টি রাবগি বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটবে। এতে ভুটান-বাংলাদেশ-ভারত একদিকে উপকৃত হবে, প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি হবে। কমবে পরিবহন ও অন্যান্য খরচও। নদীপথে পরিবহন একটি পরিবেশবান্ধব উপায়ও।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব উল ইসলাম বলেন, এটি আমাদের ত্রিদেশীয় যোগাযোগ বাড়াবে, দেশেগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াবে এবং আমাদের জাতিগত সংযোগ ও সম্পর্ক বাড়াতে সহায়তা করবে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আমাদের স্বাধীনতার পর আবারও এই নদীপথের ট্রানজিট সুবিধা চালু হলো। নদীপথের মাধ্যমে আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানো ও আমাদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব।
তিনি বলেন, ড্রেজিং এবং নদীপথের অন্যান্য কার্যক্রমে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের ভালো অংশীদার। তারা খুবই আন্তরিক। নদীপথের যে কোনো সমস্যা সমাধানে সব সময় বিআইডব্লিউটিএ প্রস্তুত এবং একসঙ্গে কাজ করলে যে কোনো সমস্যা সমাধান সম্ভব।
ভারতের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য গত ১২ জুলাই ডিজিটালভাবে এমভি এএসআই নামের ভারতের অভ্যন্তরীণ নৌ-কর্তৃপক্ষের এই জাহাজটির যাত্রার সূচনা করেন। এরপর জাহাজটি ভারতের আসামের ধুবরি থেকে যাত্রা করে ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছায়। তারও আগে ভুটানের ফুয়েন্টশোলিং থেকে ট্রাকে করে ১৬০ কিলোমিটার দূরে আসামের ধুবরিতে এ পাথর আনা হয়। জাহাজটি ১ হাজার মেট্রিকটন পাথর পরিবহন করছে, যা স্থলপথে পরিবহন করতে ৫০টিরও বেশি ট্রাক প্রয়োজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক ইয়াশা সোবহান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মুহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (কাস্টম হাউজ-পানগাঁও) সৈয়দ আতিকুর রহমান প্রমুখ।
SOURCE : যশোরের আলোসৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur
উপকূলের অসহায় নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Vulnerable Women on the Coast
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান
Bashundhara Group Provides Training and Sewing Machines to Poor Coastal Women
৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships