‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ দেশের ইতিহাসে বৃহৎ ইসলামিক রিয়ালিটি শো। ৯ ফেব্রুয়ারি পর্দা উঠেছিল, শনিবার অনুষ্ঠানের সফল সমাপ্তি হয়েছে। ১০০ দিনের মহা আয়োজনে অংশ নেয় অন্তত ১০ হাজার হাফেজ; যাদের বয়স ১৫ বছরের নিচে। খুদে এই হাফেজদের অংশগ্রহণে পুরো আয়োজন ছিল বর্ণিল।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই সুন্দর আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রিয়ালিটি শো আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছিল। এরপর অভাবনীয় সাড়া জাগে। সারা দেশের আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা হাজারো মাদরাসা থেকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছিল ১০ হাজারের বেশি হাফেজ।
সমগ্র বাংলাদেশ থেকে নিবন্ধিত হাফেজদের মধ্য থেকে শ্রেষ্ঠত্ব বাছাইয়ে নেওয়া হয় নিখুঁত পরিকল্পনা। এর সঙ্গে যুক্ত হন দেশের নামজাদা ইসলামিক স্কলারবৃন্দ। নেপথ্যে থেকে সহযোগিতা করেন বিভিন্ন মাদরাসার মুহতামিম, শিক্ষক, মসজিদের ইমাম থেকে শুরু করে নানা শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা।
প্রতিযোগিতা ছিল অত্যন্ত সুশৃঙ্খল। সব মিলিয়ে ১১টি জোনে বিভক্ত করে শুরু হয় অডিশন রাউন্ড। ১১টি জোন হলো ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও ফরিদপুর।
৯ ফেব্রুয়ারি সকালে একযোগে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় জোনে অডিশনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’ রিয়ালিটি শোর। ১১ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা, ১২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী ও রংপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর ও খুলনা, ২০ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগীয় জোনে চলে অডিশন রাউন্ড। ২২ ফেব্রুয়ারি দিনভর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা উত্তর জোনের অডিশন।
সর্বশেষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা দক্ষিণ জোনের অডিশন। প্রাথমিক অডিশন থেকে ইয়েস কার্ড পায় ৪৫ জন হাফেজ। ঢাকার দুই জোন থেকে ৯ জন করে ১৮ জন এবং বাকি ৯টি জোনে তিনজন করে ২৭ জন হাফেজকে নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতার থিয়েটার রাউন্ড। থিয়েটার রাউন্ড চলে ৪ থেকে ৮ এপ্রিল। এখান থেকে সেরা ৩০ জন জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল কোয়ার্টার ফাইনাল রাউন্ড চলে। তাদের মধ্য থেকে সেরা ২০ জন জায়গা করে নেয় সেমিফাইনাল রাউন্ডে। এই পর্বে প্রতিযোগিতার জন্য প্রতিযোগীদের চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয় সেমিফাইনাল রাউন্ড শুরু হয় ২০ এপ্রিল। প্রতি গ্রুপ থেকে দুজন করে চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেয় আটজন হাফেজ।
শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য চূড়ান্ত পর্বে যারা লড়েছিল―গ্রুপ-১ থেকে কুমিল্লার হাফেজ মো. মুশাররফ হুসাইন ও ময়মসিংহের মো. লাবিব আল হাসান। গ্রুপ-২ থেকে ঢাকা দক্ষিণের হাফেজ মো. আব্দুল্লাহ মারুফ ও বশির আহমেদ। গ্রুপ-৩ থেকে ঢাকা উত্তরের হাফেজ শাহরিয়ার নাফিজ সালমান ও নুরুদ্দীন জাকারিয়া। গ্রুপ-৪ থেকে ঢাকা দক্ষিণের হাফেজ নাসরুল্লাহ আনাছ ও সিলেটের মো. আবু তালহা।
দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী দায়িত্ব পালন করেন এবং নিখুঁতভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে শ্রেষ্ঠত্ব নির্বাচন করেছেন। শনিবার ঘোষণা হয়েছে প্রতিযোগিতার প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে অষ্টম স্থান।
এ প্রতিযোগিতার ১০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা উত্তরের মারকাজুল ফয়জুল কুরআন মাদরাসার শিক্ষার্থী হাফেজ নুরুদ্দীন মোহাম্মদ জাকারিয়া। পুরস্কার হিসেবে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা।
দ্বিতীয় বিজয়ী ঢাকা উত্তরের মো. শাহরিয়ার নাফিস সালমান পেয়েছে সাত লাখ টাকা। তৃতীয় কুমিল্লার শামসুল উলুম তাহফিজুল হিফজ কুরআন মাদরাসার মো. মোশাররফ হোসাইন পেয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।
চতুর্থ ও পঞ্চম হয়েছে ঢাকা দক্ষিণের মারকাজুত তাহফিজ মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী মো. নাসরুল্লাহ আনাছ এবং মোহাম্মদ বশীর আহমদ। পুরস্কার হিসেবে তারা পেয়েছে দুই লাখ টাকা করে। সেরা আটের বাকি তিনজন ময়মনসিংহের মো. লাবিব আল হাসান, সিলেটের মো. আবু তালহা আনহার ও ঢাকা দক্ষিণের আবদুল্লাহ আল মারুফ পেয়েছে এক লাখ টাকা করে। এ ছাড়া বিজয়ীদের বিশেষ সম্মাননা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এ ছাড়া তারা বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পিতা-মাতাসহ পবিত্র ওমরাহ পালনের সুযোগ পাবে।
এদিকে প্রতিযোগিতার নবম থেকে ৪৫তম স্থান অধকিারীরাও পেয়েছে আর্থিক সম্মাননা।
কুরআনের হাফেজদের নিয়ে বৃহৎ এই রিয়ালিটি শো চলতি রমজানে প্রতিদিন নিউজটোয়েন্টিফোর টেলিভিশন চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়েছিল। এর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডটকম ও ক্যাপিটাল এফএম।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনসৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur
উপকূলের অসহায় নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Vulnerable Women on the Coast
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান
Bashundhara Group Provides Training and Sewing Machines to Poor Coastal Women
৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships