নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে নিহত নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবারকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। বুধবার দুপুরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে নিহতদের পরিবারের হাতে তিনি আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা মো. আবু তৈয়ব এবং নিহত নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবারের সদস্যরা। নিউ মার্কেটের ঘটনার পর গণমাধ্যমে নাহিদ ও মোরসালিনের পরিবারেরর অসহায়ত্বের বিষয় জানতে পারেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। মোরাসালিনের মেয়ের ঈদের জামা চাওয়ার বিষয়টি শুনে তিনি কষ্ট পান। এরপরই তিনি দুই পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। আর্থিক সহায়তা পেয়ে নাহিদের স্ত্রী শিলা মনি বলেন, যে ক্ষতি হয়ে গেছে কোনোভাবেই তা পূরণ হওয়ার নয়। তারপরও এই সহায়তা পাওয়াতে আমার অনেক উপকার হলো। বসুন্ধরা গ্রুপ পাশে থাকায় আবার বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছি। নাহিদের মা নার্গিস বলেন, পোলাডারেতো আর ফিরা পামু না। যতদিন দুনিয়ায় আছিলো ততদিন আমাগো কথাই চিন্তা করছে। মইরা গিয়াও আমাগো পাশেই আছে। বসুন্ধরা গ্রুপরে আল্লাহ আরো বড় করুক। মোরসালিনের মা নূরজাহান বলেন, আমার পোলাডারে যারা মেরে ফেলছে তাগো বিচার আল্লাহ করব। আমার হার্ডের রোগ আছে। প্রতিমাসে দুই আড়াই হাজার টাকার ওষুধ লাগে। আমার পোলা কত কষ্ট করে সেই টাকা জোগাইতো। আমারে অনেক ভালোবাসতো। এহন আরেক পোলা আছে আজকে পাওয়া টাকা দিয়া তার লাইগা কিছু কইরা দিতে চেষ্টা করমু। মোরসালিনের স্ত্রী অনি আক্তার মিতু বলেন, আমার মেয়েটা এখনেও রাতে বাবারে খোঁজে। ও জানে না ওর বাবা আর ফিরবে না। মোরসালিন শ্বশুর মকবুল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে অসহায় হয়ে গেছে। এই কষ্ট কোনো কিছু দিয়েই পূরণ সম্ভব না। বসুন্ধরা গ্রুপ আমার অসহায় মেয়েটির পাশে দাঁড়িয়েছে, এজন্য আমরা চির কৃতজ্ঞ। বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, এর কোনো তুলনা বাংলাদেশে নেই। করোনার সময় আমাদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব আহমেদ আকবর সোবহান আমাকে ডেকে বললেন, উত্তরবঙ্গ সবচেয়ে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা। আপনি তাদের সাহায্য করেন। প্রত্যেক পরিবারকে আপনি এক মাস করে খাবার দেন। এই এক মাসের মধ্যে তারা উপার্জন করে পরের মাসে চলতে পারবে। আমরা সেই সময় উত্তরবঙ্গের ৫০ হাজার পরিবারকে এক মাসের খাবার দিয়েছি। এরপর গত শীতে আমরা দেড় লাখ কম্বল বিতরণ করেছি। এছাড়া প্রতি মাসে আমরা ২৫ লাখ ৫০ লাখ এবং ১ কোটি টাকাও দিয়ে কাউকে ঘর তুলে দিচ্ছি, কাউকে দোকান দিয়ে দিচ্ছি, কাউকে ভ্যান গাড়ি কিনে দিচ্ছি। আড়াইশ’/তিনশ’ ছেলে মেয়েকে পড়াচ্ছি। মেডিক্যালে ভর্তি করালাম ১১ জন ছেলে মেয়েকে যারা অতি দরিদ্র্য মেডিক্যালে পড়ার সামর্থ্য নেই। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগী, সেলাই মেশিন দিয়ে যাচ্ছি। অর্থাৎ ভেতর থেকে এক একটি পরিবারকে স্বাবলম্বী করার চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি বসুন্ধরার পক্ষ থেকে। এটা বাংলাদেশে একটি দৃষ্টান্ত। বসুন্ধরার মতো করে আর কাউকে এভাবে এগিয়ে আসতে দেখিনি। আমরা চাই, বসুন্ধরার মতো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এগিয়ে আসুক। তিনি আরও বলেন, আজকের আয়োজনটাও অত্যন্ত মানবিক। কয়েকদিন আগে নিউ মার্কেটে যে ঘটনা ঘটে গেলো। দুজন মানুষকে হত্যা করা হলো, সেই মানুষগুলোর পরিবারের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছে, যাতে তারা স্বচ্ছলভাবে চলতে পারে। এটা আমি মনে করি অতুলনীয় একটি উদ্যোগ।
SOURCE : বাংলাদেশ প্রতিদিনপটুয়াখালীতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ
Bashundhara Shuvosangho Holds Tree-Plantation Campaign in Patuakhali
নাটোরের ৪০ জন অসচ্ছল নারী পেলো বসুন্ধরা শুভসংঘের কাছ থেকে সেলাই মেশিন
Bashundhara Shuvosangho Give Forty Sewing Machines to Insolvent Women in Natore
নাটোরে ২০ জন অসচ্ছল নারীকে সেলাই মেশিন দিল বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Shuvosangho Provide 20 Women Sewing Machines in Natore
Twenty Underprivileged Women Get Bashundhara's Sewing Machine After Training in Natore
নাটোরে প্রশিক্ষণ শেষে বসুন্ধরার সেলাই মেশিন পেল ২০ অস্বচ্ছল নারী
৪ লক্ষাধিক রোজাদারকে বসুন্ধরার ইফতার
Bashundhara Provides Iftar to Over 4 Lakh People this Ramadan