করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য চীনের উহানে দ্রুততার সঙ্গে বানানো হয়েছিল অস্থায়ী হাসপাতাল। বাংলাদেশও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তায় দেশে তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে ওই হাসপাতালের নির্মাণকাজ। প্রয়োজনীয় সব সরঞ্জামই চলে এসেছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই এ অস্থায়ী হাসপাতালের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশের এ ক্রান্তিকালে এগিয়ে এসেছে বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার পাশাপাশি আইসিসিবিকে পাঁচ হাজার শয্যার করোনা হাসপাতালে রূপান্তরের প্রস্তাব দেয় বসুন্ধরা গ্রুপ। এরপর প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি দল আইসিসিবি পরিদর্শন করে। পরে এটাকে অস্থায়ী হাসপাতাল বা আইসোলেশন সেন্টার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কভিড-১৯ বিপর্যয় শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবং সরকারের যত দিন প্রয়োজন শেষ না হবে, তত দিন আইসিসিবিকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এখানে দুই হাজার ৭১ শয্যার অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। তবে প্রয়োজন দেখা দিলে এটিকে পাঁচ হাজার শয্যায় রূপান্তর করা যাবে। গতকাল রবিবার সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদুল আলম হাসপাতাল নির্মাণের কর্মযজ্ঞ দেখভাল করছিলেন। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা যেহেতু দ্রুততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে চাই, এ জন্য একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের কাজ চলছে। ছোট ঘরের মতো করে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার, যাতে একটি করে বেড স্থাপিত হবে। ইলেকট্রিক্যাল লেন তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি শয্যার সঙ্গে গ্যাস-নেবুলাইজার মেশিন চালানোর জন্য পাওয়ার সকেট, টু পিন সকেট বসানো হচ্ছে। সাব-স্টেশন বসানোর কাজ চলছে। সব ধরনের সরঞ্জামই আমাদের আছে। এখন ফিটিং করতে যেটুকু সময় লাগে। আমরা রাত-দিন কাজ করছি।’ এ প্রকৌশলী বলেন, ‘এরই মধ্যে ৩০০ শয্যা চলে এসেছে। এখন প্রতিদিন ২০০ শয্যা আসতে থাকবে। শিগগিরই ফ্লোর কার্পেট বসানো হবে। এরপর ডাক্তার চেম্বার, নার্স চেম্বার, ওয়ার্ক স্টেশন লে আউট করে ফার্নিচার সেট করা হবে। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যেই আমরা কাজ শেষ করতে চাই।’ মাসুদুল আলম আরো বলেন, ‘চীনের উহানে দ্রুততার সঙ্গে অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির কথা আমরা শুনেছি। এখন আমরাও সেটা করছি। এ জন্য জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। সরকারকে সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বসুন্ধরা গ্রুপকেও বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আইসিসিবির এক্সপো জোনে তৈরি হচ্ছে হাসপাতালের অবকাঠামো। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখা হয়েছে কনভেনশন হলগুলোতে। পুরোদমে চলছে অবকাঠামো নির্মাণকাজ। ছোট ছোট ঘরের মতো করে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন সেন্টার, যা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। ইলেকট্রিকের নানা ধরনের কাজ চলছে। হাসপাতাল তৈরিতে সম্পৃক্ত স্বাস্থ্য প্রকৌশলীরা বলছেন, আইসিসিবির এক্সপো জোনকে ছয়টি ক্লাস্টারে ভাগ করে প্রতি ক্লাস্টারে ২৮৮টি করে বেড স্থাপন করা হবে, যাতে মোট এক হাজার ৪৮৮ বেড স্থাপিত হবে। আর চারটি কনভেনশন হলে নির্মিত হবে ৫৬৪ বেড। জরুরি ও গুরুতর রোগীর জন্য থাকবে আইসিইউ সাপোর্ট। সিসিটিভিও স্থাপন করা হবে, যেন রোগীকে সার্বক্ষণিক মনিটর করতে পারেন ডাক্তার ও নার্সরা। গাড়ি পার্কিং থেকে শুরু করে নানামুখী সুবিধার এ কনভেনশন সেন্টারে রোগীদের চিকিৎসার পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থাও থাকবে।
সৈয়দপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে গাছের চারা রোপণ
Tree Plantation Initiative by Bashundhara Shuvosangho in Saidpur
উপকূলের অসহায় নারীদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ
Bashundhara Group Stands by Vulnerable Women on the Coast
বসুন্ধরা গ্রুপের উদ্যোগে উপকূলীয় দরিদ্র নারীদের প্রশিক্ষণ ও সেলাই মেশিন প্রদান
Bashundhara Group Provides Training and Sewing Machines to Poor Coastal Women
৫৩ লাখ টাকার সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের
Bashundhara Foundation Distributes Tk 5.3 Million in Interest-Free Loans
বসুন্ধরা গ্রুপের শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে জাবির ১১৬ জন শিক্ষার্থী
Bashundhara Group Supports 116 JU Students with Scholarships